রংপুর রাইডার্স এবং ফরচুন বরিশাল বিপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে, তবে চট্টগ্রাম পর্বে বাকি দুটি প্লে-অফ স্থানের জন্য প্রতিযোগিতা বেশ জমে উঠেছে। দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালস তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করে তৃতীয় স্থানে থাকা চিটাগাং কিংসের কাছাকাছি চলে এসেছে। চিটাগাং তাদের শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে তৃতীয় স্থানে আছে।
খুলনা টাইগার্স বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং নিচের দুটি দলের থেকে একটি ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ রয়েছে। তবে তারা রংপুরের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় হতাশ। সিলেট স্ট্রাইকার্স চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নিচে থেকে সংগ্রাম করছে।
চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করার সময় রাজশাহী চাপে ছিল, কারণ তাদের খেলোয়াড়রা বেতন না পাওয়ার প্রতিবাদে অনুশীলন বয়কট করেছিল। তবে তারা এই পর্বে প্রথম দল হিসেবে রংপুরকে হারিয়েছে, ২৪ রানে জয় পেয়েছে। বরিশাল চট্টগ্রামে তাদের ম্যাচগুলোতে ঢাকা, চিটাগাং এবং খুলনাকে হারিয়েছে।
Table of Contents
সেরা ব্যাটার: তানজিদ হাসান
ঢাকার পুনরুত্থান নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের ওপেনাররা, যেখানে তানজিদ হাসান চট্টগ্রামে তিন ইনিংসে ৬২, ২২ এবং অপরাজিত ৯০ (৫৪ বলে) রান করেছেন। এর আগে সিলেটে রাজশাহীর বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে অপরাজিত ৯০ রানের সময় তার সাতটি ছক্কা মারার ফলে এই মৌসুমে বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন।
চিটাগাংয়ের গ্রাহাম ক্লার্ক খুলনার বিপক্ষে ৫০ বলে ১০১ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। আনামুল হকও খুলনার বিপক্ষে ৫৭ বলে অপরাজিত ১০০ রান করেছিলেন, তবে তার দল রাজশাহী ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে হেরে যায়। রাজশাহীর আরেক ব্যাটার ইয়াসির আলি রংপুরের বিপক্ষে ৩২ বলে ৬ ছক্কাসহ ৬০ রান করে দলকে জয় এনে দেন।
আকিফ জাভেদ ৪ উইকেট নিয়ে ৩২ রান দিয়ে চট্টগ্রাম কিংসকে ধাক্কা দিলেন (রংপুর রাইডার্স)
![আকিফ জাভেদ ৪ উইকেট নিয়ে ৩২ রান দিয়ে চট্টগ্রাম কিংসকে ধাক্কা দিলেন (রংপুর রাইডার্স)](https://e2betbangladesh.com/wp-content/uploads/2025/01/394911.jpg)
পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার আকিফ জাভেদ এই মৌসুমে চমক দেখাচ্ছেন। তিনি এখন পর্যন্ত ১৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন এবং তার ইকোনমি রেট ৬.৫৯। ২৪ বছর বয়সী এই বোলার ঘণ্টায় ১৪০ কিমি স্পিডে বল করছেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে চার উইকেট এবং রাজশাহীর বিপক্ষে তিন উইকেট নিয়ে তিনি দারুণ পারফর্ম করেছেন। উইকেটের চারপাশ থেকে বাউন্সার দারুণভাবে ব্যবহার করছেন।
রাজশাহীর রায়ান বার্ল: রায়ান বার্ল চার উইকেট নিয়ে রংপুরের বিপক্ষে বড় জয়ে ভূমিকা রাখেন।
স্পিনারদের সাফল্য: চট্টগ্রামে কিছু সেরা স্পিনারও ভালো খেলেছেন। তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ নওয়াজ, আরাফাত সানি এবং সুনজামুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট নেন।
খুলনার মাহফুজুর রহমান: খুলনার ১৯ বছর বয়সী বাঁ-হাতি স্পিনার মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাত্র এক ওভারেই ২৭ রান দেন। এটি এই মৌসুমে দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া ওভার।
সিলেটের সমস্যা: সিলেট দল টসে পর আল-আমিন হোসেনকে ইনজুরির কারণে হারায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ অধিনায়ক থিসারা পেরেরা তাদের বদলি খেলোয়াড় দিতে অস্বীকৃতি জানান।
রাজশাহীর ব্যর্থতা: চট্টগ্রামের বিপক্ষে রাজশাহী মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে যায়, যা তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর। সেই ম্যাচে চট্টগ্রামের নাঈম ইসলাম ৩৮ বছরের পর অর্ধশতক করা দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হন, মাহমুদউল্লাহর পর।
রংপুরের পরাজয়: রংপুর টানা আট ম্যাচ জিতে এই মৌসুমে প্রথমবার হারে। রাজশাহীর বিপক্ষে হারের পরও তারা বারিশালের থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আছে।
বারিশালের ধারাবাহিকতা: বারিশাল টানা তিনটি ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এবং প্লে-অফে খেলার খুব কাছাকাছি। চট্টগ্রাম তৃতীয় স্থানে থাকলেও তাদের সামনে রংপুর ও বারিশালের মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ আছে।
প্লে-অফের দৌড়: খুলনা টাইগার্স এখন রাজশাহীর সঙ্গে ৮ পয়েন্টে সমান হলেও নেট রান রেটে চতুর্থ স্থানে। ঢাকা ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনো প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনায় আছে।