মোহাম্মদ কাইফ দাবি করেছেন, ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য Virat Kohli পরিকল্পনা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল, তবে অজিত আগারকর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির কাছ থেকে তিনি প্রয়োজনীয় সমর্থন পাননি।
Table of Contents
Virat Kohli টেস্ট অবসর: বিসিসিআই ও নির্বাচকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সোমবার (১২ মে) Virat Kohli ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, যা গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১.৮ কোটি বার ইন্টারঅ্যাকশন পেয়েছে, সেখানে হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। বিসিসিআই এবং তাদের নির্বাচকরাও এ বিষয়ে নিশ্চুপ। ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের (২০ জুন শুরু) নির্বাচনী বৈঠকের কয়েকদিন আগেই এই ঘোষণা অনেক জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ মনে করেন, কোহলি ইংল্যান্ড সফরের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন এবং তার এই ধারণার ভিত্তি ছিল অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে কোহলির রঞ্জি ট্রফিতে খেলার প্রতিশ্রুতি। তবে কাইফ মনে করেন, অজিত আগারকর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির কাছ থেকে কোহলি প্রত্যাশিত সমর্থন পাননি। তারা তার সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তার টেস্ট একাদশে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
কাইফ বলেন, “আমার মনে হয় কোহলি টেস্ট ফরম্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা হয়েছে নিশ্চয়ই, যেখানে নির্বাচকরা গত ৫-৬ বছরে তার ফর্ম উল্লেখ করে তাকে জানিয়েছেন যে তার জায়গা আর নিশ্চিত নয়। আমরা আসল ঘটনা কোনোদিনই জানতে পারব না, আড়ালের বাস্তবতা আন্দাজ করাও খুব কঠিন।”
“কিন্তু যেভাবে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, রঞ্জি খেলার পরও—তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে সে আসন্ন টেস্টে ফিরতে চেয়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহে যা যা ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে কোহলি বিসিসিআই ও নির্বাচকদের কাছ থেকে যে সমর্থন আশা করেছিল, সেটা পায়নি,”—এমনটাই মন্তব্য করেছেন কাইফ, এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
‘অস্ট্রেলিয়ায় রান করার জন্য কোহলি যেন তাড়াহুড়ো করছিলেন’

৩৬ বছর বয়সী Virat Kohli ফর্ম গত পাঁচ বছরে বেশ কিছুটা পড়ে যায়। এই সময়ে তিনি ৬৮ ইনিংসে মাত্র ২০২৮ রান করেন, যার মধ্যে ছিল মাত্র তিনটি সেঞ্চুরি। এই ব্যর্থতা তার কেরিয়ার গড়কেও নামিয়ে আনে ৪৬-এ। যদিও অস্ট্রেলিয়া সফরে কিছুটা প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি—গত বছরের নভেম্বর মাসে পার্থে দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি করেন সিরিজের প্রথম ম্যাচেই—তবুও বাকি সফরে মাত্র ৯০ রানই করতে পেরেছিলেন এবং ভারত সিরিজ হেরে যায় ১-৩ ব্যবধানে।
মোহাম্মদ কাইফ মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ায় কোহলির অস্বাভাবিক ব্যাটিং স্টাইলই দেখিয়েছিল যে তিনি এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন।
তিনি বলেন, “বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২০২৪-২৫-এ তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুব দ্রুত রান তুলতে চাইছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে থাকতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয়—যা অতীতে কোহলি দারুণভাবে করতেন। কিন্তু এবার তাকে বারবার বল ছোঁয়াতে দেখা গেছে, বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউট হচ্ছিলেন, যা দেখে মনে হয়েছে তার ধৈর্য কমে গেছে।”
কাইফ আরও বলেন, “হয়তো তার মনে হচ্ছিল, ‘আমি কেরিয়ারের শেষ পর্বে এসেছি, এখন আবার কঠিন এক সেঞ্চুরি করে কী হবে?’ আগে তাকে দেখা যেত বল ছাড়তে, ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করতে, বোলারদের ক্লান্ত করে তারপর আক্রমণ করতে—কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আমি তার সেই রূপ দেখিনি।”