Prithvi Shaw নিজের ক্যারিয়ারের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলে জানিয়েছেন, তিনি তার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং জোরদার প্রত্যাবর্তনের জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।
প্রথম সারির স্বপ্ন থেকে বাস্তবের ধাক্কা: Prithvi Shaw য়ের আত্মস্বীকৃতি

এক সময় যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে বিবেচিত হতেন, সেই Prithvi Shaw এখন জাতীয় দলে নির্বাচনের আলোচনাতেও নেই। ডানহাতি এই ব্যাটার মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফির একাদশ থেকেও বাদ পড়েন, পরে বিজয় হজারে ট্রফির স্কোয়াডেও রাখা হয়নি তাকে। দীর্ঘ নীরবতার পর, ২৫ বছর বয়সী শ অবশেষে নিজের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন, জানিয়েছেন তিনি “বিপথে গিয়েছিলেন”।
২০১৮ সালে টেস্টে অভিষেকেই Prithvi Shaw ১৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তৎকালীন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী তাকে তুলনা করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা ও বীরেন্দর সহবাগের সম্মিলিত রূপ হিসেবে।
২০২5 সালের আইপিএল মেগা নিলামে Prithvi Shaw কোন দলের কাছ থেকেই বিড পাননি। এমনকি অনেক দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা চোটে পড়ার পরেও কেউ তাকে পরিবর্তন হিসেবেও দলে নেননি।
এক সাক্ষাৎকারে নিউজ২৪-কে শ বলেন, “অনেক কিছু হয়েছে। মানুষ যা দেখে, সেটা আলাদা। কিন্তু আমি জানি আসলে কী হয়েছে। আমি বুঝতে পারি। জীবনে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ক্রিকেটকে কম সময় দিতে শুরু করেছিলাম। আগে প্রচুর প্র্যাকটিস করতাম। তিন-চার ঘণ্টা ব্যাট করতাম, কখনো ক্লান্ত হতাম না। অর্ধেক দিন মাঠে কাটিয়ে দিতাম। আমি স্বীকার করি, তখন মনোযোগে ভাটা এসেছিল।”
“আমার পারিবারিক সমস্যা ছিল”

সম্প্রতি মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)-এর কাছ থেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চেয়ে আবেদন করেছেন Prithvi Shaw। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক সমস্যাও তার মনঃসংযোগে প্রভাব ফেলেছে।
নিজের কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে Prithvi Shaw বলেন, তার দাদুর মৃত্যু তাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল। “অনেক কিছু হয়েছে। শুধু একটা কারণ নয়। আমার পারিবারিক সমস্যা ছিল। আমার দাদু মারা গিয়েছিলেন। তিনি আমার খুব কাছের ছিলেন। অনেক কিছু আছে যা বলা যায় না, কিন্তু আমি অনুভব করতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার ভুল স্বীকার করি। কিন্তু আমার বাবা সব সময় আমার পাশে ছিলেন। যত খারাপ সময়ই যাক না কেন। তিনি ভালো এবং খারাপ দুই দিকই দেখেছেন।”
একসময় বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়া পৃথ্বী জানান, সেই কঠিন সময়ে কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার তার পাশে দাঁড়াননি। তবে ঋষভ পন্ত সবসময় তার খোঁজ রেখেছেন।
আইপিএলের মেগা নিলামে কোনও দল না নেওয়ায় তিনি অবাক হননি বলেও জানান পৃথ্বী, “আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।”
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫টি টেস্ট, ৬টি ওয়ানডে এবং ১টি টি২০ খেলেছেন পৃথ্বী শ। এখন তিনি অন্য রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন, কারণ তাকে মুম্বই ক্রিকেট ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“আমি এখন আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছি। আবার মূলে ফিরে গিয়েছি। পাঁচ বছর আগে যেভাবে পরিশ্রম করতাম, আবার সেই রুটিন শুরু করেছি। আমি নিজের উপর বিশ্বাস রাখি। জানি না, অন্যরা আমার ওপর বিশ্বাস রাখে কি না। কিন্তু আমি জানি, আমাকে কী করতে হবে। সেই কারণেই এই সমস্ত কিছু করছি,” বললেন পৃথ্বী।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার বাবা একটা কথা বলেছেন — শুধুমাত্র পৃথ্বী শ-ই নিজেকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে। অন্য কেউ নয়। তাই আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি।”