Rohit Sharma: রোহিত এবং বিরাট বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন, তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
Rohit Sharma: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নির্বাচন কমিটি যখন অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করে, তখন সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল শুভমান গিলকে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করা।
Table of Contents
Rohit Sharma: এই খবরটি ক্রিকেট বিশ্বের কাছে অবাক করে দিয়েছিল, কারণ রোহিত শর্মা সম্প্রতি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন এবং সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো ফর্মে ছিলেন। রোহিতকে কেন অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Rohit Sharma: নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকর এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছেন যে ভবিষ্যতের কৌশল মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২৭ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় রোহিতের স্থান নিশ্চিত নয়। বর্তমানে কেবল ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
Rohit Sharma: ২০২৭ বিশ্বকাপের নীলনকশা
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, বিসিসিআই এবং টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অনানুষ্ঠানিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছিল। ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে নতুন করে শুরু করার পরামর্শ উঠে এসেছিল এবং গিলের হাতে অধিনায়কত্ব হস্তান্তর করা উপযুক্ত হবে।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রোহিত শর্মাকে পরিচালনা করা, যিনি সম্প্রতি দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। যেহেতু তিনি কেবল ওয়ানডে খেলেন এবং অন্যান্য ফর্ম্যাটের বাইরে থাকেন, তাই তার নিয়মিত ম্যাচ অনুশীলনের অভাব রয়েছে। তার শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে এসেছিল এবং তার পরে, তিনি কেবল আইপিএলে খেলেছেন। আগারকর আরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে রোহিতের খেলার সময় না থাকা একটি প্রধান কারণ।
সিনিয়র খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ ভারসাম্যে
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রাথমিকভাবে, বিসিসিআইয়ের মধ্যে মতামত বিভক্ত ছিল, কারণ রোহিতকে সাদা বলের ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে, অস্ট্রেলিয়া সফর যত এগিয়ে আসছে, বেশিরভাগ কর্মকর্তাই পরিবর্তনের সাথে একমত হয়েছেন।
মজার বিষয় হল, রোহিত (৩৮ বছর বয়সী) এবং বিরাট (৩৬ বছর বয়সী) প্রায় একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। বোর্ড বিশ্বাস করেছিল যে এই সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। ভবিষ্যতের জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের উপর বাজি ধরা নিরাপদ বলে মনে করা হয়েছিল। বর্তমানে, উভয় অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের অংশ, তবে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।