কোটাম্বি স্টেডিয়ামে একটি চ্যালেঞ্জিং পিচে দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শন করে কর্ণাটককে পঞ্চম বিজয় হাজারে ট্রফি ফাইনালে তুললেন দেবদত্ত পাড়িকল। তিনি প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত ফর্ম বজায় রেখে সপ্তম টানা পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হরিয়ানাকে ছিটকে দেন।
পাড়িকল ১১৩ বলে ৮৬ রান করেন, আগের ম্যাচে বারোদার বিপক্ষে তার করা ১০২ রানের ইনিংসের পর এটি ছিল তার দ্বিতীয় বড় ইনিংস। রবিশঙ্কর স্মরণের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়ে কর্ণাটক ২৩৮ রানের লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করে।
বিজয় হাজারে ট্রফি: পদিক্কালের দারুণ খেলায় কর্ণাটক হরিয়ানার বিপক্ষে ম্যাচে ফিরে এল।
পদিক্কাল কর্ণাটকের রান তাড়া শুরুতে ট্র্যাকে আনেন অনীশের সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপে। পরে স্মরণের সঙ্গে তার জুটি হরিয়ানার আশা ভেঙে দেয়। হরিয়ানা যখন তাদের স্পিনার অমিত আর সিন্ধুকে আক্রমণে আনে, তখন স্মরণ-পদিক্কাল ধীরে ধীরে সেট হন। কিছু বল ঘুরছিল, কিছু লাফাচ্ছিল, কিন্তু পদিক্কাল ডেডলক ভাঙেন সিন্ধুকে লং-অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে। বেশিরভাগ সময় তিনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন, তবে শেষ দিকে তাড়াহুড়ো করে ক্রস-ব্যাট শটে খেলতে গিয়ে সিন্ধুর বলে মিড-অফে ক্যাচ দেন। তখন কর্ণাটক ৪৪ রান দূরে।
এর আগে, প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে হরিয়ানার ওপেনার অর্শ রাঙ্গা আর হিমাংশু ভালো শুরু করেন। পঞ্চম ওভারে রাঙ্গা কৌশিকের বলে এজ দিয়েছিলেন, কিন্তু শ্রীজিত ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন। তবে কৌশিকের দ্বিতীয় বলেই রাঙ্গাকে স্লিপে পদিক্কালের হাতে ক্যাচ ধরান।
এরপর কিছু সময় হিমাংশু ও অমিত ভালো খেলেন। কর্ণাটকের বোলিং কিছুটা ওয়াইড আর গ্লাভিং ভুলে সাহায্য করে। তবে আগরওয়াল স্পিন আনলে গতি থামে। শ্রীজ আর হার্দিক রাজ দুই প্রান্তে ব্যাটারদের পরীক্ষা নেন। এই স্পেলেই হিমাংশু আর অধিনায়ক অঙ্কিত আউট হন। পরে তেওটিয়া আর সুমিত কিছু রান করলেও কর্ণাটক নিয়মিত উইকেট নিয়ে হরিয়ানাকে অল্প রানে আটকে দেয়।
এর ফলে কর্ণাটক ২০১৯-২০ সালের পর প্রথমবার বিজয় হাজারে ফাইনালে পৌঁছায়।