বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখনো ২০২৪ সালের শেষ চার মাসের বেতন পাননি, যদিও সে সময় তিনি জাতীয় চুক্তির আওতায় ছিলেন।
বিসিবির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, সাকিবের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকায় তার বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। একজন কর্মকর্তা বলেন, “এটা সত্যি যে সাকিব এখনো সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি, কারণ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ছিল।”
জানা গেছে, সাকিব কর বাদে ৪৮ লাখ টাকা (মার্কিন ডলার ৩৮,৪০০) পাওয়ার কথা। ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নবম বোর্ড সভায় সাকিবকে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা ছিল সাকিবের

সাকিব সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট চলাকালে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এবং নিজের শেষ টেস্ট দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তা কারণে তিনি দেশে ফেরেননি।
সাকিব যখন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছিলেন, তখন দেশে অস্থিরতার মধ্যে এক হত্যামামলায় তার নাম জড়ায়। তবে বিসিবি তাকে খেলার অনুমতি দেয়, যতক্ষণ না তিনি দোষী প্রমাণিত হন।
বোর্ড প্রথমে আশ্বাস দিয়েছিল যে, সাকিব দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। তবে পরবর্তীতে অবস্থান বদলে তারা সতর্ক হয়, যাতে টেস্ট সিরিজে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ থেকে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ সরিয়ে ইউএই-তে নেওয়ার পর বিসিবির উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে সাকিব সমস্যায় পড়ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়। তিনি সীমিত ও টেস্ট ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার ইচ্ছা ছিল। তবে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে তিনি দলে জায়গা পাননি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী সাকিব তার পাওনা পাবেন। তিনি বলেন, “সে তার বেতন চুক্তি অনুযায়ী পাবে। খেলা হোক বা না হোক, চুক্তি অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।”